বাংলাদেশের বিষয়ে এমন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া উচিত হবে না যা ভারতের স্বার্থের বিপক্ষে যায় – যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে এমনটি বলেছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা। প্রথম পাতায় খবরটি ছেপেছে দৈনিক ইত্তেফাক।
লেখা হয়েছে সম্প্রতি ভারতের দুইদিনের সফরে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠকে উঠে আসে ভারতে মহাসাগরে চীনের উচ্চাকাঙ্খা ইস্যু। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের নির্বাচনের বিষয়টি গূরুত্ব পায় বৈঠকে।
একই প্রসঙ্গে মানবজমিনের শিরোনাম – এশিয়ায় চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত আলোচনা
তারা বলছে ভারত মহাসাগরে চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইকোনমিক টাইমস।
আলোচনার এজেন্ডায় উঠে আসে ভারতের প্রতিবেশী ইস্যু। এমন দুটি প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের জাতীয় নির্বাচন যথাক্রমে আগামী বছরের শুরুতে এবং এ বছরের শেষের দিকে। এক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি হলো- তার প্রতিবেশীদের বিষয়ে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে না, যা ভারতের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেশের জন্য অশনিসংকেত – দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি।
এতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বশক্তিগুলোর মেরুকরণ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত: এ প্রতিযোগিতা চলতে থাকলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে । এটা থামাতে ব্যর্থ হলে বিপদ বাড়তে পারে। তারা বলেছেন, বড় শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে নিয়ে টানাটানি করা বিপজ্জনক। বাংলাদেশের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করা প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্র কোন ভূখন্ডই দাবি করেনি-রাশেদ খান মেননের বক্তব্যে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে খবরটির এমন শিরোনাম করেছে দৈনিক মানবজমিন।
বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে ‘রেজিম চেঞ্জ’ কৌশলের অংশ উল্লেখ করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি দাবি করেছেন, তারা সেন্টমার্টিন চায়, কোয়াডে বাংলাদেশকে চায়। বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে তারা সব কিছু করছে।
পত্রিকাটি লিখেছে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর শন ম্যাকিনটোশ মানবজমিনকে জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ শক্তিশালী এবং সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব বজায় রাখে। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। দেশটির কোনো ভূখণ্ডের ওপর আমরা কোনো দাবি করিনি। নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে আমরা মূল্য দিই এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সহ গণতন্ত্রের প্রচারে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করি।’