ঢাকায় বসুন্ধরা এলাকায় রোববার এক পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পুলিশ এবং চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, শরীরে ‘টক্সিক কেমিক্যালের’ প্রভাবে শিশু দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওই পরিবারের আরো তিনজন সদস্য চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেছেন।
এই ঘটনায় সোমবার গুলশানের ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে, এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল রাতেই পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলছে, ‘দায়িত্বে অবহেলাজনিত’ মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ব্যাক্তিকে।
কী ঘটেছিল? পরিবার কী বলছে?
রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোষ্টে প্রথম ‘কীটনাশকের প্রভাবে স্কুল পড়ুয়া দুুইটি শিশুর মৃত্যু’র কথা জানা যায়। অল্প সময়ে সেটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং সোমবার সারাদিনই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিবিসি বাংলা বিষয়টি নিয়ে ওই দুই শিশুর পরিবার, হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মারা যাওয়া শিশু দুইজনের বয়স যথাক্রমে ১৫ বছর এবং নয় বছর।
শিশু দুইজনের মা শারমিন জাহান লিমার চাচাতো ভাই শিহাবুল হক চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ঘটনার আগের দিন ‘পেস্ট কন্ট্রোল’ থেকে লোক এসেছিল ঔষধ দিতে।
তিনি বলেছেন, “পেস্ট কন্ট্রোলের লোক বলেছিল (স্প্রে করার পর) দুই ঘণ্টায় যাতে কেউ ঘরে না ঢোকে। দুই ভাই এবং তাদের মা,বাবা ও বোন একদিন ঘরে ঢোকেনি। তারা পরের দিন ঘরে ঢোকার পরে সব কয়জন অসুস্থ হয়ে পড়ে।”
মি. হক বলেছেন, পরিবারের সদস্যরা ঘরে ঢোকার পর কিছু সময় সব স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ঘণ্টা খানেক পরে তাদের সবারই পেটে ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়।