নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মশিক্ষাকে সংকুচিত করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, এ নিয়ে একটি বিশেষ মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রতিটি অপপ্রচারের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বই তুলে ধরে প্রমাণ দিয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে পর্বতারোহী সংগঠন ‘অভিযাত্রী’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মশিক্ষা সংকুচিত করার অভিযোগ করেন।
রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছিলেন, ইসলামি শিক্ষাকে সামষ্টিক মূল্যায়নে ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে বাদ দিয়ে মানবিক বিভাগে ঐচ্ছিক রেখে কৌশলে সংকুচিত করা হয়েছে। যার ফলে নীতি-নৈতিকতাহীন দুর্নীতিগ্রস্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে ওঠার দ্বার উন্মোচিত হবে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের ওই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞান ও মূল্যবোধ সংকুচিত নয়, বরং প্রসারিত করার জন্য সরকার কাজ করছে। সেখানে ধর্ম, নৈতিকতা, মূল্যবোধ—এগুলো শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেভাবেই থাকছে। ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কোনো বিশেষ শিক্ষাকে সংকুচিত করা হচ্ছে—এ ধরনের মন্তব্য আসলে একেবারেই সঠিক নয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমকে একেবারে না জেনে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অন্য কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিশেষ মহল সরকারবিরোধী অপপ্রচারের অংশ হিসেবে এ কাজ করছে। যতগুলো অপপ্রচারের ভিডিও রয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে বই দেখিয়ে প্রমাণ দেখানো (সরকারের পক্ষ থেকে) হয়েছে যে সেগুলো একেবারে মিথ্যা।