শ্রীলঙ্কায় চার্চ ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলা, নিহত অন্তত ২০

শ্রীলঙ্কার ইস্টার সানডে অনুষ্ঠান পালনের সময় চার্চ ও হোটেলের ছয়টিরও বেশি স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে এসব হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং দুইশোরও বেশি আহত হয়েছে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডের দিনে এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। 

রাজধানী কলম্বো ও কলম্বোর বাইরে অন্তত ছয়টি স্থানে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে কোচিচিকাদে, কুতুয়াপিটায়ে এবং বাত্তিকালোয়ার তিনটি চার্চ হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। এছাড়াও কলম্বোর সাংরি লা, সিনামোন গ্রান্ড এবং কিংসব্যুরি হোটেলেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

কলম্বোর কোচিচিকাদের সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় হামলাটি ঘটে কুতুয়াপিটায়ে-এর সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চে দ্বিতীয় হামলা হয়। আর তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে নেগোম্বো শহরের বাত্তিকালোয়া চার্চে। এছাড়া কলম্বোর তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় আটটা ৪৫ মিনিটের দিকে ইস্টার সানডে’র অনুষ্ঠান চলার মধ্যে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। 

এর আগে দুটি স্থানে বিস্ফোরণের বিষয়ে জানায় শ্রীলঙ্কার পুলিশ। কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন বিস্ফোরণে পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। দ্বিতীয় আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে রাজধানী কলম্বোর উত্তরে নেগোম্বো শহরের আরেকটি চার্চে। নিজেদের ফেসবুক পাতায় সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছে ওই চার্চ কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে কুতুয়াপিটায়ে-এর সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চের অভ্যন্তরণে ছিন্নভিন্ন ছাদের ছবি দেখা গেছে। মেঝেতে রক্ত পড়ে থাকার ছবিও দেখা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবন সিনামন গ্রান্ড হোটেলে বিস্ফোরণে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। হোটেলের এক কর্মচারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, হোটেলের এক রেস্তরায় বিস্ফোরণ ঘটােনা হয়। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকেরাও থাকতে পারে। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন তারা বিস্ফোরণের বিষয়ে তথ্য খতিয়ে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শিগিগরই জরুরি বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন।

সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দেশ শ্রীলঙ্কার মাত্র ছয় শতাংশ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। দেশটির দুই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী তামিল ও সিংহলিজ উভয়ের মধ্যেই এই ধর্মাবলম্বীদের দেখতে পাওয়া যায়। 

Comments (0)
Add Comment