কয়লা আসতে শুরু করেছে কিন্তু বন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কবে চালু হতে পারে
কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের উপকূলে পায়রা ও বাঁশখালী বিদ্যুৎ কারখানার জন্য কয়লাবাহী জাহাজ আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষে ঐ দুই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কয়লা সংকটের কারণে গত ৫ই জুন পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ৮ই জুন চট্টগ্রামের বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বরিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার মজুদও ফুরিয়ে আসছিল।
এমন সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে চীনের পতাকাবাহী জাহাজ।
সেইসাথে পায়রা ও বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার চালান চলতি মাসের শেষে এসে পৌঁছাবে এবং এ মাসেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে ফিরতে পারবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে শনিবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার জন্য জাহাজে কয়লা আসছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে দেশের, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৩ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট। কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ৩ হাজার ৩৬০ মেগাওয়াট।
এর মধ্যে বড়পুকুরিয়ার ৫২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রে দেশি কয়লা ব্যবহৃত হয়। বাকিগুলো চলে আমদানি করা কয়লায়।
তাই এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন নিশ্চিত করতে কয়লার আমদানি অব্যাহত রাখা ছাড়া বিকল্প নেই।