রাসেল পেলো ৫ লাখ টাকার চেক, বাকি ৪৫ লাখ একমাস পরে
প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকা দিতে বলা আদেশের পর প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকার চেক দিয়েছে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ। বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধে গ্রিনলাইনকে একমাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ক্ষতিপূরণের অগ্রগতির বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিবহনটির মালিক হাজী মো.আলাউদ্দিনকে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার শামসুল হক রেজা। অন্যদিকে গ্রিনলাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. অজি উল্লাহ।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল পরিবহনটির ম্যানেজার মো. আব্দুস সাত্তারকে আদালত বলেছিলেন, ‘১০ এপ্রিলের মধ্যে টাকা না দিলে ১১ এপ্রিল থেকে বাসের টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখবেন। অযথা টিকিট বিক্রি করে (১০ এপ্রিল থেকে) জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবেন না।’
এরআগে গত ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে রাসেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে এবং তার কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু, গত ৩১ মার্চ গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিনলাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়িতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় তার বাসা।
এ ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। পরে আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।