বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অনুসরণ করতে চায় নেপাল। ইন্টার-পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ)’র ১৪০তম সম্মেলন চলাকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আকাঙ্খার কথা জানিয়েছেন নেপালের কৃষ্ণ বাহাদুর মাহানা। আজ রবিবার রাতে সংসদ সচিবালয়ের থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাতারের দোহায় শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে নেপালে স্পিকার বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যা অনুসরণযোগ্য। তিনি আরো বলেন, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে দু’দেশের সংসদ সদস্যগণ ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে উপকৃত হতে পারবে। বাণিজ্য প্রসারে নেপালের ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই বাঙালি জাতিকে যে সংবিধান উপহার দিয়েছেন তা অনন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। দেশের জিডিপি ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। বর্তমান সরকার সবার জন্য শিক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তার বলয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, সরকার দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নেপালের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ইতমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য, সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া ও আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান এবং কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।