যুক্তরাজ্যে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত জ্বালানির দাম আগামী অক্টোবর মাস থেকে ৮০ শতাংশ বাড়বে। গতকাল শুক্রবার দেশটির জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফজেম বলেছে, অক্টোবর থেকে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাবদ বছরে গড়ে ৩ হাজার ৫৪৯ পাউন্ড গুনতে হবে। খবর সিএনএনের।
বিশ্বজুড়ে জ্বালানির পাইকারি দাম বাড়ার প্রভাব বিশ্বজুড়ে পড়ছে। এমন অবস্থায় বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের সরকার গ্যাসের ব্যবহার কমানো এবং মজুত বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্য সরকারে এখন অচলাবস্থা চলছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত করতে ভোটাভুটি করবে কনজারভেটিভ পার্টি।
অফজেমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোনাথন ব্রিয়ারলি বলেছেন, দাম বাড়ার কারণে যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলোর ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। আগামী জানুয়ারি মাসে আরেক দফায় জ্বালানির দাম বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি। জোনাথন ব্রিয়ারলি আরও বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে অক্টোবরে এবং আগামী বছর মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আরও ব্যবস্থা নিতে হবে।
অফজেমের মতে, এটি এমন এক সংকট, যা মোকাবিলায় জরুরিভাবে সরকারি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ব্রিয়ারলি মনে করেন, আগামী মাসে লিজ ট্রাস কিংবা ঋষি সুনাক—এ দুই প্রার্থীর মধ্যে যিনিই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন না কেন, তাঁকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
গতকাল অর্থমন্ত্রী নাধিম জাহাউয়ি বলেন, পরবর্তী সরকারের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুতে কাজ করছেন তিনি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, নতুন মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণায় লাখো মানুষের ওপর চাপ ও উদ্বেগ তৈরি করবে।
অফজেম বলছে, জানুয়ারি মাসে কী পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধি হবে, তার আভাস দিচ্ছে না তারা। তবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির এ পরিস্থিতি চলতে পারে।
আগামী অক্টোবর যুক্তরাজ্যের ২ কোটি ৪০ লাখ পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাসের গড় বিল বেড়ে যা হবে, তা গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ। গত বছরের অক্টোবরে গড় বিলের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৭৭ পাউন্ড।