বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ৮ উপকমিটি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে আটটি বিষয়ভিত্তিক উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রথম সভায় এসব কমিটি করা হয় বলে রাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও আলোচনা সভা আয়োজন; আন্তর্জাতিক কর্মসূচি ও যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজন, প্রকাশনা ও সাহিত্য, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও অনুবাদ, ক্রীড়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন, মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন এবং চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র শিরোনামে উপ-কমিটিগুলো করা হয়েছে।
তবে এসব উপ-কমিটিতে কে কে রয়েছেন সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু জানানো হয়নি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে সভাপতি করে ১০২ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি করে সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২০ মার্চ জাতীয় কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটির যৌথসভা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয় স্থাপন করে সেখানে কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
“২০২০ সালের ১৭ মার্চ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত বছরব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর বিষয়ভিত্তিক উপকমিটি গঠন করা হয়।”
উপ-কমিটিগুলোকে দ্রুততম সময়ে তাদের স্ব স্ব বিষয়ে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বাজেট নির্ধারণের অনুরোধ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
আসছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছর এক অনুষ্ঠানে বলেন, এ আয়োজনে সকল বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। শিশু, তরুণ, যুবক- সকলের জন্য আলাদা কর্মসূচি থাকবে। আয়োজনের বিস্তৃতি থাকবে দেশের সকল ওয়ার্ড পর্যন্ত।
সেদিন তিনি বলেন, “জাতির পিতা রক্ত দিয়ে ঋণ শোধ করে গেছেন। তার রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।”
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সোমবার বাস্তবায়ন কমিটির প্রথম সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও অ্যারোমা দত্ত; তথ্য সচিব আবদুল মালেক, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সংস্কৃতি সচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. মো. মাহফুজুর রহমান, মহাপুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীও ছিলেন এই সভায়।
চলচ্চিত্র শিল্পী সারাহ বেগম কবরী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক জীনাত ইমতিয়াজ আলীও সভায় অংশ নেন।
বীরপ্রতীক কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন, সাংবাদিক আবেদ খান, নাট্যশিল্পী সারা যাকের, শিল্পী রফিকুন নবী, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, মাছরাঙা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী, লেখক-সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন, চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, সাংবাদিক স্বদেশ রায়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বাবু, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ,বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।