ডবল চিনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে প্রতিদিন চুইংগাম খাওয়া শুরু করুন!
শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে যে কেবল পেট মোটা হয়, তা নয়, সেই সঙ্গে শরীরের বাকি পেশীরাও আলগা হতে শুরু করে। বাদ পরে না ফেসিয়াল মাসলও। তাই তো থুতনির নিচে জন্ম নেয় আরেক থুতনি, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় ডবল চিন বলা হয়ে থাকে। আর চিন্তার বিষয় হল তথাকথিত চিকিৎসার মাধ্যমে ডবল চিনের সমস্যাকে দূর করা যায় ঠিকই। কিন্তু তাতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা ডবল চিনের সমস্যাকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কমাতে পারে। ডবল চিন প্রকাশ পেতে শুরু করলে সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। তাই তো ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ ওজন বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের ইতিউতি মেদ জমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডবল চিন প্রকাশ পেতে সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল যারা ইতিমধ্যেই এই সমস্যায় ভুগছেন, তারা কী করবেন? এক্ষেত্রে কতগুলি ঘরোয়া টোটকাকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়বে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, ডবল চিনকে গায়েব করতে এক্ষেত্রে যে যে উপাদানগুলি দারুন কাজে আসে, সেগুলি হল…
১. চুইং গাম: একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত চুইংগাম খাওয়া শুরু করলে মুখের পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। আর একবার ত্বকের ইলাস্ট্রিসিটির উন্নতি ঘটলে ডবল চিন অদৃশ্য হয়ে যেতে সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটি মাথায় রাখা জরুরি। কী বিষয়? যে চুইংগামটা খাচ্ছেন, তা যেন সুগার ফ্রি হয়, না হলে কিন্তু দাঁতের বারোটা বেজে যাবে!
২. ডিমের কুসুম: শুনে অবাক হচ্ছেন জানি! কিন্তু একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে ডবল চিনের সমস্যা মেটাতে বাস্তবিকই ডিমের কুসুমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে ডিমের অন্দরে উপস্থিত স্কিন টাইটনিং প্রপাটিজ, ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে ত্বক টানটান হয়ে উঠতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে ১ টা ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ চামচ দুধ, ১ চামচ মধু এবং ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটি থুতনি এবং গলায় লাগিয়ে কম করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন একবার করে এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগালে দেখবেন ডবল চিন নিমেষে মিলিয়ে যাবে।
৩. গ্রিন টি: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত দু কাপ করে গ্রিন টি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন অতিরিক্ত ওজন কমবে, তেমনি শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করবে যে ডবল চিন গায়েব হতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, গ্রিন টির সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে যদি খেতে পারেন, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়া যায়।
৪. অলিভ অয়েল: ডবল চিনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে বন্ধু ত্বকের পরিচর্যায় অলিভ অয়েলকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন! আসলে এই এই তেলটিতে উপস্থিত ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে স্কিন টানটান হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফলে একদিকে যেমন ডবল চিনের সমস্যা মেটে, তেমনি ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল নিয়ে গরম করে নিতে হবে। তারপর তা সারা মুখে এবং থুতনির কাছে লাগয়ে কম করে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে মুখটা।
৫. ভিটামিন ই: দুটো ভিটামিন ই ট্যাবলেট নিয়ে তা থেকে সংগ্রহ করা তেল, থুতনি এবং সারা মুখে লাগালে ত্বকের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। আর যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে স্কিনের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ত্বক টানটান হবে। ফলে ডবল চিন মিলিয়ে যেতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে ডার্ক সার্কেলের সমস্যাও মিটবে চোখের নিমেষে।
৬. গ্লিসারিন: ১ চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে ১ চামচ সন্ধক লবন মিশিয়ে একটা তুলোর সাহায্যে ডবল চিনের উপরে লাগাতে হবে। তারপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে সারা মুখটা। এইভাবে প্রতিদিন ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন এই ধরনের সমস্যা কমতে সময় লাগবে না।
৭. কোকো বাটার: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত অল্প পরিমাণ কোকো বাটার নিয়ে মুখে লাগিয়ে মাসাজ করলে স্কিনের ইলাস্ট্রিসিটি বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডবল চিন মিলিয়ে যায় কয়েক সপ্তাহে।